বিশেষ নোটিশঃ সুপ্রিয় গল্পেরঝুরিয়ান - আপনারা যে গল্প সাবমিট করবেন সেই গল্পের প্রথম লাইনে অবশ্যাই গল্পের আসল লেখকের নাম লেখা থাকতে হবে যেমন ~ লেখকের নামঃ আরিফ আজাদ , প্রথম লাইনে রাইটারের নাম না থাকলে গল্প পাবলিশ করা হবেনা
আপনাদের মতামত জানাতে আমাদের সাপোর্টে মেসেজ দিতে পারেন অথবা ফেসবুক পেজে মেসেজ দিতে পারেন , ধন্যবাদ
X
পর্ব - ০৪
রাত্রিবেলার খাবার দাবার শেষ করে যার যার রুমে সবাই চলে গেল। কিন্তু রিহানের মনে ভীষণ ভয়, না জানি আজ রিহানের কপালে কি কি দুঃখ অপেক্ষা করছে? ভয়ে ভয়ে রুমে ঢুকল। রুমের ভেতরে ঢুকে দেখে লিজা চুপচাপ শুয়ে আছে, কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করল কিন্তু লিজা কোন কথা বলেনি। রিহান শুয়ে শুয়ে টিভি দেখছে আর ভাবছে,
- যাক আজ অনন্ত এই ডাইনির হাত থেকে রেহাই পেলাম।
বলতে না বলতেই রিফাত ফোন দিল। রিফাতের নাম্বার দেখে ফোন রিসিভ করছেনা। বার বার ফোন বেজে যাচ্ছে কিন্তু রিসিভ করেনা। পাশ থেকে লিজা বলল,
- এই তুমি বয়রা নাকি? বার বার ফোন বাজতেছে কিন্তু রিসিভ করছনা কেন?
- কি একটা কষ্টে আছি ফোন রিসিভ করলেও বিপদ না করলেও বিপদ।
- বেশি কথা না বলে ফোন রিসিভ করো।
- ফোন রিসিভ করে লাউ স্পিকার দাও।
লিজার কথা মত ফোন রিসিভ করে লাউ স্পিকার দিল রিহান,ফোনের ওপাশ থেকে রিফাত বলল,
- বন্ধু কি খবর? বিয়ে করে আমাদের ভুলে গেলে? ঢাকা কবে আসবে?
- আগামীকাল আসব বন্ধু।
- তোর কন্ঠ এত আস্তে আস্তে আসছে কেন?
- অসুস্থ তাই।
- কি বলিস? আচ্ছা ফুলসজ্জা কেমন হল?
- খুব কঠিন হয়েছে।
- মানে কি?
- মানে কিছুনা ঢাকা আসলে বলবো।
- আচ্ছা শুন আগামী মাসে আমার বিয়ে।
রিহান একটু চমকে গিয়ে বলল,
- বিয়ে?
- মানে কি? বিয়ের কথা শুনে যেমন চমকে গেলে।
- বন্ধু আমার কথা শুন তোর যা ইচ্ছে হয় তুই কর কিন্তু বিয়েটা করবেনা।
- কেন? বিয়ে তো সুন্নত।
- বুঝবে।
- কি বুঝব?
- দোস্ত তুই এক কাজ কর পাসপোর্ট করে পাশের দেশ নোয়াখালী ঘুরে আয় তবুও বিয়ে করিস না তাহলে আমার মতো কাঁদতে হবে।
- মানে কি? সালা তুই কি গাঞ্জা টাঞ্জা খাইসছ নাকি?
- আমি কি এগুলো কখনো খেয়েছি?
- কি বলিস বিয়ে করে মদ খাওয়া ছেড়ে দিলে।
- কি বলছিস তোর মাথা ঠিক আছে তো।
- দোস্ত মামা বিদেশ থেকে আসবে আগামীকাল। সিগারেট ৫প্যাকেট মেরে দিব। তারপর তুই আর আমি এক লগে বসে টানব।
- বুঝতে পারছি তুই মদ খেয়ে মাতাল, তাই আবুল তাবুল বলতেসছ।
এই বলে রিহান ফোন কেটে দেয়। বুকটা দপবপ করতেছে একটা বাঁশের ঠ্যালা শেষ না হতেই আরো হাজার বাঁশ রেডি। আল্লাই জানেন কি হবে আজ?
লিজা ঘুম থেকে উঠে বলল,
- এই আমার দিকে তাকাও।
- ইয়ে মানে রিফাত যা বলছে সব মিথ্যে।
- আমি কি সেই প্রশ্ন করেছি?
- আমি উত্তর দিতে চাইনি।
- চুপ একদম চুপ।
কিছুক্ষণ পর, লিজা বলল,
- আজ কয়টা সিগারেট খাওয়া হইছে সত্যি করে বলো?
- আমি কি সিগারেট খাই?
- মিথ্যা কথা বললে কান টেনে ছেড়ে ফেলবো বলে দিলাম।
রিহান ভয়ে ভয়ে আস্তে করে বলল,
- একটা সিগারেট খেয়েছি।
- মুখে জোর নেই? জোরে বলতে পারোনা?
- একটা সিগারেট খেয়েছি।
- কখন?
- বাসা থেকে বের হয়ে যখন বাজারে গিয়েছিলাম।
- আর কোনদিন সিগারেট খাবে?
- না কোন দিন খাবনা।
- মদ খাও কেন?
- ছিঃছিঃ মদ কি মানুষে খায়?
- কান ধরে টান দিলাম কিন্তু?
- মানে মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে আর কি আড্ডা দিলে।
- আর কোন দিন যদি শুনি মদ খেয়েছ তাহলে খুন করে ফেলব।
লিজার কথা শুনে চুপচাপ রিহান, হাজার কথা বলা থাকা সত্যেও বলতে পারছেনা। সব কিছু কেমন যানি তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে। মনে মনে রিফাতকে গালাগাল দিচ্ছে। একটু পর তাকিয়ে দেখে লিজা ঘুমিয়ে গেছে। ভয়ে ভয়ে বিছানা থেকে গিয়ে সোফায় ঘুমিয়ে পড়লো। রাত প্রায় ২টা বাজে কেন জানি লিজার ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে উঠে দেখে রিহান পাশে নেই। লিজার অন্তর কেঁপে উঠল কারন মুখ থেকে রিহানকে যাই গালাগাল দেয়না কেন মন থেকে খুব ভালবাসে। ঝগড়া করতে লিজার অনেক ভাল লাগে। এপাশ ওপাশ থাকিয়ে পাচ্ছেনা, রুমের লাইট জ্বালিয়ে দেখে শুয়ে আছে সোফায়। কাছে গিয়ে হাত ধরে কপালে একটা চুমু খেয়ে বলে,
- পাগল একটা।
সকাল সকাল লিজা ঘুম থেকে উঠে কফি বানিয়ে আনছে রিহানের জন্য, রিহানের কাছে এসে বলল,
- বাবু ঘুম থেকে উঠো সকাল হয়ে গেছে।
লিজার মুখে বাবু ডাক শুনে রিহান ঘুম থেকে উঠে বলল,
- আজ সূর্য কোন দিকে উঠল?
- মানে কি?
- সকাল সকাল এত সেবা হঠাৎ করে।
- তাহলে কি সারাক্ষণ ঝগড়া করব নাকি?
- তুমি ঝগড়া ছাড়া আর কি কিছু জানো?
- এই খবরদার আমার রাগ উঠলে খবর আছে।
- আচ্ছা তোমায় খুব সুন্দর লাগছে।
- তাই বুঝি?
- একদম আমার সপ্নের রাণী।
- এই ওয়েট রাণী কে ছিল?
- আরে বাবা সপ্নের রাণী বলছি।
- ওহ আচ্ছা। এই শোনো আমি নাস্তা আনতে গেলাম। তুমি কফি খেয়ে শেষ কর।
এই কথা বলে লিজা চলে গেল রান্না ঘরে। এইদিকে রিহান ভাবছে,
- কি ব্যাপার আজ কি হয়েছে যে উনি এত খুশি। মতলব কি?
যাই হউক ডাইনিটা ভাল আছে, যতটা খারাপ ভাবছিলাম ততটা খারাপ নয়। যাক তাহলে আর মনে হয় পেইন খেতে হবেনা।
ভাবতে ভাবতে প্রেম সাগরে ডুবে যায় রিহান। হটাৎ চলে আসে নাস্তা নিয়ে লিজা, এসে রিহান রিহান বলে ডাকে কিন্তু রিহান শুনেনা। কানে ধরে দিল এক টান, রিহান বলল,
- এই কে?
- আরে বাবু আমি।
- ওহ! কি নাস্তা এনেছ?
- তোমার প্রিয় বিরিয়ানি।
- ওয়াও বেবী আমায় এত ভালবাসো?
- এত খুশি হওয়ার কারন নেই, সামনে বিপদ আছে।
এই বলে লিজা গেল আবার রান্না ঘরে।
চলবে_____
"ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন"
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করুন
গল্পটির বিষয়ে মন্তব্য করতে আপনার একাউন্টে প্রবেশ করুন ... ধন্যবাদ... Login Now
Tamim Khandaker
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেDesert shadow panther
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেsushmita paul
User ৪ বছর, ১ মাস পুর্বেমোহাম্মদ মফিজুল হোসেন।।
Golpobuzz ৪ বছর, ১ মাস পুর্বে